এইচ এস সি পরীক্ষা বাতিলের পর এবার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরিস্থিতি

প্রধান প্রশ্ন। এবার পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা না হওয়ার কারণে এবার সবাইকে পাশ হিসাবে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের কারণে এবারের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) বা সমমানের পরীক্ষা হবে না। এসব শিক্ষার্থীর জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এইচএসসির মূল্যায়ন করা হবে। আগামী ডিসেম্বর এই মূল্যায়নের কাজটি করা হবে। আজ বুধবার অনলাইনে সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এসব কথা জানান।

bdsuggestion.com

বর্তমান সিদ্ধান্তের পরিবর্তে HSC এর টেস্ট পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ফলাফল দেওয়া যায় কিনা ভাবা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সকল কলেজ ছাত্রছাত্রীদের খাতা বোর্ডে জমা দিবে। তারপর বোর্ড ভিন্ন শিক্ষক দিয়ে খাতা মূল্যায়ন করে ফলাফল দিতে পারে।

বহিঃবিশ্বের দিকে খেয়াল করলে বর্তমান পরিস্থিতিতে বাতিলের সিদ্ধান্ত খুব একটা খারাপ হয়নি। তবে যে পদ্ধতিতে মূল্যায়নের কথা ভাবছে সরকার সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। কমিটি বিভাগ পরিবর্তন করা শিক্ষার্থীদের বিষয়টি ঠিক করবে।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেএসসি ও SSC পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে HSC পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হবে। তার মানে একজন শিক্ষার্থী HSC তে দুই বছর যা কিছু পড়েছে তার উপর কোনো পরীক্ষা না দিয়েই HSC র ফলাফল পেতে যাচ্ছে। HSC র সিলেবাসে অনেক রয়েছে। অনার্স চার বছরে একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে যা পড়ানো হয় তার summary থাকে গ্রুপ ভিত্তিক বিষয় গুলোতে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় - HSC র পদার্থ বিজ্ঞান যা একজন শিক্ষার্থী পড়ে সেই জিনিসই পদার্থ বিজ্ঞান যারা অনার্স করে তারা চার বছর ধরে বিস্তারিতভাবে পড়ে। তাই একত্রে জেএসসি ও SSC র সিলেবাস কে HSC র সিলেবাসের সমান ধরার কোনো মানে নাই।

bdsuggestion.com


প্রধান প্রশ্ন। এবার পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা না হওয়ার কারণে এবার সবাইকে পাশ হিসাবে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করে এইচএসসির ফল ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশ করা হবে। এর পরই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে—এমনটি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী শীত মৌসুমে দেশে করোনার প্রকোপ আরো বাড়বে। ফলে ডিসেম্বরের পর থেকে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি বা মার্চ এই সময়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে উদ্বেগ ও শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়ায়ুল হক সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এখনো তিন মাস সময় রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, কি পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিভিন্ন স্তর আমাদের আছে। জেনারেল অ্যাডমিশন কমিটি, ডিনস কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলে এসব বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিগিগরই এসব আলোচনা শুরু করা হবে। 

এ বছরের এইচএসসি ও সমমান পর্যায়ে পরীক্ষা ছাড়াই মূল্যায়নের সিদ্ধান্তের পর কীভাবে ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে তা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করবে নাকি সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করবে তা নিয়েও সংশয় কাটছে না। যদিও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বুধবার প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে গুচ্ছ বা সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে।

গন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, সরকার যেহেতু এইচএসসির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে এবার আমাদের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ভাবতে হবে। পরিস্থিতি ভালো হলে অবশ্যই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। 

ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করাব। এক্ষেত্রে তিনটি গুচ্ছ হবে। এগুলো হচ্ছে—কৃষি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি এবং সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেছেন, শীর্ষ পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় না এলেও বাকিদের নিয়ে আসন্ন শিক্ষাবর্ষ থেকেই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সমন্বিতভাবে পরীক্ষায় শিক্ষার্থী ভর্তি এখন সময়ের দাবি। গোটা ভারতে একটি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। সেখানে আমাদেরও পারার কথা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক গতকাল প্রতিবেদককে বলেন, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার এখতিয়ার মন্ত্রণালয়ের। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এখতিয়ার। মূল্যায়নের মাধ্যমে ডিসেম্বরে এইচএসসির ফল প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পর্যালোচনা করে ন্যূনতম আবেদনের শর্ত, জিপিএ ইত্যাদি নির্ধারণ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সীমিত আসন সংখ্যার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আবেদনকারীর সংখ্যা সীমিত না হলে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন বা অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়াসহ নানারকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হাতে রয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইউজিসির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষাবিদদের সিদ্ধান্তে আমাদের আস্থা রাখতে হবে। 

উপাচার্য আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে বিগত বছরগুলোর মতো এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর ভিত্তিতেই শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এ জন্য কোনো পরীক্ষায় বসতে হবে না শিক্ষার্থীদের। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, মূল্যায়নের মাধ্যমে সরকার এইচএসসির ফল প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্মান প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। ভর্তি পরীক্ষার নিয়মাবলি, শর্তসহ নানা বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক কাউন্সিল ও ভর্তি কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। সমন্বিত ভর্তি পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে যাবতীয় সিদ্ধান্ত একাডেমিক কাউন্সিল ও ভর্তি কমিটি নেবে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান প্রতিবেদককে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক কাউন্সিল ভর্তি প্রক্রিয়ার বিষয়গুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। সম্মান প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর ভিত্তিতে কিছু নম্বর নির্ধারিত থাকে। 

এবার এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ক্ষেত্রে তো তেমন কোনো পরিবর্তন আসবে না। তাছাড়া পরীক্ষা ছাড়া এইচএসসিতে জিপিএ নির্ধারণ করা হবে। তাই এবারের ভর্তি পদ্ধতিতে যেন এই দুই পরীক্ষার ফলাফলকে আমলে নেওয়া না হয়। ভর্তির ক্ষেত্রে উচিত হবে পুরো নম্বরের জন্যই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া। 

এতে ভর্তিচ্ছুদের মেধা সঠিকভাবে যাচাই করা হবে, মেধাবীরাও কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি নেওয়া হলে শিক্ষার্থীদের হয়রানি কমে আসবে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি নিয়ে এখন উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন এইচএসসির ফলের অপেক্ষায় থাকা পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। ফল হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তারা স্বস্তি পাচ্ছেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে যেন এমন কোনো পদ্ধতির উদ্ভব করা না হয়। ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন না থাকলে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে যাবে। তাই সরকারকে এক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করতেই হবে।

Thanks for reading: এইচ এস সি পরীক্ষা বাতিলের পর এবার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরিস্থিতি, Sorry, my English is bad:)

Getting Info...

Post a Comment

Please do not enter any spam link in the comment box.
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.